মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৩
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের
শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সাদ্দামের বাম পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে। এসময় তার
সঙ্গী সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী গোলাম রব্বানী তুফানের পায়ে গুলি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
পাঠায়। উভয়ের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে সংশ্লিষ্ট চিকিত্সক সূত্রে জানা
গেছে। জানা যায়, পার্শ্ববর্তী ধরমপুর মিজানের মোড় থেকে
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়
শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম, কাউসার আহমেদ
কৌশিক ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী গোলাম রাব্বানী তুফান। বেলা সাড়ে ১১টার
দিকে তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি ছৈমুদ্দিনের মোড়ে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা
জন শিবিরকর্মী পথ অবরোধ করে গুলি করে। তারা সাদ্দামকে ধারালো অস্ত্র
দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং বাম পায়ের রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময়
সাবেক ছাত্রলীগকর্মী তুফানের বাম পায়ে গুলি লাগে । তবে তাদের সঙ্গী অপর
ছাত্রলীগকর্মী কৌশিক দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হন। পরে স্থানীয়রা
সাদ্দাম ও তুফানকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।রাজশাহী
মেডিক্যাল কলেজের জরুরী বিভাগের চিকিত্সক ডা. আহম্মেদ তারেক সাংবাদিকদের
বলেন, আহতদের শরীরে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। সাদ্দামের পিঠ, মাথা ও
বাম পা গুরুতর জখম হয়েছে। এছাড়া তার বাম পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে। আর
তুফানের বাম পায়ে গুলি লেগেছে। তিনি বলেন, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে
হামলার ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে দাবি করে দুপুর
একটার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এরপর
তারা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক একঘন্টা অবরোধ
করে রাখে। পরে প্রক্টর ও পুলিশের আশ্বাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবরোধ
প্রত্যাহার করে।বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর
রহমান রানা সাংবাদিকদের বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে
আমাদের নেতাকর্মীদের উপর চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের
ক্যাডাররা আজ প্রকাশ্য দিবালোকে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক সাদ্দামের পায়ের রগ কেটে দেয়া ছাড়াও কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে
গুরুতর জখম করেছে। আরেক ছাত্রলীগ কর্মী তুফানের বাম পায়ে গুলি করেছে।
জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলন করব।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন