বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৩

যোগাযোগমন্ত্রী বললেন আন্দোলনে জনবিচ্ছিন্ন হবে বিরোধী দল

আন্দোলনে জনবিচ্ছিন্ন হবে বিরোধী দল: যোগাযোগমন্ত্রীযোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সহিংস আন্দোলনের পথে গেলে বিরোধী দল জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
বৃহস্পতিবার ফেনী সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, "বিরোধী দলের আন্দোলনের মরা গাঙ্গে এখন আর জোয়ার আসবে না। নেতাকর্মীরা এখন সবাই নির্বাচনের মুড-এ আছে, আন্দোলনের মুড-এ নয়।"
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য সাংবাদিকদের বলেন, "একতরফা নির্বাচনের কোনো চিন্তাই আমরা করছি না বরং প্রধান বিরোধী দলকে প্রধান নির্বাচনী প্রতিপক্ষ ভেবেই আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
বিরোধী দলকে 'সহিংস পথ' পরিহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান যোগাযোগমন্ত্রী। এসময় ফেনীর পৌর মেয়র মো. নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।

জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সন্ধ্যায়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণদেবেন।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ একথা নিশ্চিত করেছেন
 তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে।
 প্রসঙ্গত, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর ফলে বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আগামী দশম সংসদ নির্বাচন হবে।সংসদের চলতি অধিবেশন ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে কার্যউপদেষ্টা কমিটির।এর মধ্যে 'নির্দলীয় সরকার পদ্ধতির' বিল সংসদে পাস না করলে ২৫ অক্টোবর থেকে সরকার পতনের কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের বলেছেন, ২৪ অক্টোবরের পর সংসদ চলতে পারবে না, এটা সংবিধানের কোথাও লেখা নেই।এরই মধ্যে আগামী ২৫ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই দিন আওয়ামী লীগও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও প্রস্তুতিতে ২৫ অক্টোবর নিয়ে জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৩


পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সাদ্দামের বাম পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে। এসময় তার সঙ্গী সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী গোলাম রব্বানী তুফানের পায়ে গুলি করা হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। উভয়ের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে সংশ্লিষ্ট চিকিত্সক সূত্রে জানা গেছে। জানা যায়, পার্শ্ববর্তী ধরমপুর মিজানের মোড় থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম, কাউসার আহমেদ কৌশিক ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী গোলাম রাব্বানী তুফান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাদের বহনকারী অটোরিকশাটি ছৈমুদ্দিনের মোড়ে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা জন শিবিরকর্মী পথ অবরোধ করে গুলি করে। তারা সাদ্দামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং বাম পায়ের রগ কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় সাবেক ছাত্রলীগকর্মী তুফানের বাম পায়ে গুলি লাগে । তবে তাদের সঙ্গী অপর ছাত্রলীগকর্মী কৌশিক দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হন। পরে স্থানীয়রা সাদ্দাম ও তুফানকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের জরুরী বিভাগের চিকিত্সক ডা. আহম্মেদ তারেক সাংবাদিকদের বলেন, আহতদের শরীরে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। সাদ্দামের পিঠ, মাথা ও বাম পা গুরুতর জখম হয়েছে। এছাড়া তার বাম পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে। আর তুফানের বাম পায়ে গুলি লেগেছে। তিনি বলেন, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে হামলার ঘটনায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে দাবি করে দুপুর একটার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এরপর তারা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক একঘন্টা অবরোধ করে রাখে। পরে প্রক্টর ও পুলিশের আশ্বাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে।বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা সাংবাদিকদের বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা পরিকল্পিতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা আজ প্রকাশ্য দিবালোকে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দামের পায়ের রগ কেটে দেয়া ছাড়াও কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম করেছে। আরেক ছাত্রলীগ কর্মী তুফানের বাম পায়ে গুলি করেছে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলন করব।

রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৩

ভারতের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য হিস্যাগুলো আদায়ে তড়িঘড়ি নেই। ছিটমহল বিনিময় হলো না, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হলো না, ফেলানী হত্যার বিচার পেলাম না, দুই দেশের বাণিজ্যিক ঘাটতির কোনো সুরাহা হলো না। সেখানে দেশের মানুষের প্রতিবাদের মুখে এত তড়িঘড়ি করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হলো কেন? এটা আমাদের স্বার্থে নয়। ভারতীয় পুঁজির স্বার্থে। গত শুক্রবার বাংলাভিশনের টকশো 'নিউজ অ্যান্ড ভিউজ'- এ বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান এ কথা বলেন। গোলাম মোর্তোজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে যেখানে বিদ্যুতের মূল্য পড়বে চার টাকার মতো। আর ভারতের এ বিদ্যুৎ আট টাকার ওপরে পড়বে। এখানে সুন্দরবন কিভাবে নষ্ট হবে, গাছপালা, মাছ, পশুপাখির ওপরে কী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। অনেক গবেষক তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। এরপরও সরকার যদি এ পদক্ষেপ নেয় সেটা জনস্বার্থে নয়। এখানে সরকার জনগণের দিকে তাকিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নাকি অন্য কারও বাণিজ্যিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কাজটি করছেন এ প্রশ্ন থেকেই যাবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাতিলের দাবিতে লংমার্চ করলাম। সারা দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়েছে। কেন্দ্রটি নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন মহল থেকে যে প্রশ্নগুলো এসেছে তার কোনো সন্তোষজনক জবাব সরকার থেকে আসেনি। তারা যেসব যুক্তি দেখিয়েছে তা ধোপে টেকেনি। পার্লামেন্টেও বিষয়টি তোলা হয়নি। সরকার যে কথাগুলো বলেছে তার পাল্টা যুক্তিগুলো নিয়ে একটি বিতর্কও হলো না। অথচ ২২ তারিখ উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়ে ৫ তারিখেই উদ্বোধন করার ব্যবস্থা হলো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসে আমাদের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে পারলেন না। আর এখানে একটি বাণিজ্যিক বিষয় যুক্ত। প্রকল্পটি উদ্বোধন এত জরুরি হয়ে গেল কেন? তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটি এবং দেশের মানুষের পক্ষ থেকে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁস প্রসঙ্গে বাসদ নেতা বলেন, আগে স্কাইপির ঘটনা ঘটল। সেটি সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিলে এ ঘটনা ঘটত না। এতে সরকার ও ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বহীনতা প্রমাণ হলো। যুদ্ধাপরাধ বিচার সবাই চায়। দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা যখন পূরণ হচ্ছে তখন সেটিকে বিতর্কিত করার কোনো যুক্তি ছিল না। খালেকুজ্জামান বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন আছে, বিতর্ক আছে তাই আরও সতর্ক থাকা দরকার ছিল। অতীতেও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে, কথায় ও কাজে সংশয় বেড়েছে। কিভাবে রায় ফাঁস হলো প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে তদন্ত করে স্পষ্ট করা দরকার। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করা ঠিক নয়।
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2013/10/06/20234#sthash.V3iUU7cb.dpuf
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের স্বার্থে নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারতের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য হিস্যাগুলো আদায়ে তড়িঘড়ি নেই। ছিটমহল বিনিময় হলো না, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হলো না, ফেলানী হত্যার বিচার পেলাম না, দুই দেশের বাণিজ্যিক ঘাটতির কোনো সুরাহা হলো না। সেখানে দেশের মানুষের প্রতিবাদের মুখে এত তড়িঘড়ি করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হলো কেন? এটা আমাদের স্বার্থে নয়। ভারতীয় পুঁজির স্বার্থে। গত শুক্রবার বাংলাভিশনের টকশো 'নিউজ অ্যান্ড ভিউজ'- এ বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান এ কথা বলেন। গোলাম মোর্তোজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে যেখানে বিদ্যুতের মূল্য পড়বে চার টাকার মতো। আর ভারতের এ বিদ্যুৎ আট টাকার ওপরে পড়বে। এখানে সুন্দরবন কিভাবে নষ্ট হবে, গাছপালা, মাছ, পশুপাখির ওপরে কী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। অনেক গবেষক তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। এরপরও সরকার যদি এ পদক্ষেপ নেয় সেটা জনস্বার্থে নয়। এখানে সরকার জনগণের দিকে তাকিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নাকি অন্য কারও বাণিজ্যিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কাজটি করছেন এ প্রশ্ন থেকেই যাবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাতিলের দাবিতে লংমার্চ করলাম। সারা দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়েছে। কেন্দ্রটি নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন মহল থেকে যে প্রশ্নগুলো এসেছে তার কোনো সন্তোষজনক জবাব সরকার থেকে আসেনি। তারা যেসব যুক্তি দেখিয়েছে তা ধোপে টেকেনি। পার্লামেন্টেও বিষয়টি তোলা হয়নি। সরকার যে কথাগুলো বলেছে তার পাল্টা যুক্তিগুলো নিয়ে একটি বিতর্কও হলো না। অথচ ২২ তারিখ উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়ে ৫ তারিখেই উদ্বোধন করার ব্যবস্থা হলো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসে আমাদের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে পারলেন না। আর এখানে একটি বাণিজ্যিক বিষয় যুক্ত। প্রকল্পটি উদ্বোধন এত জরুরি হয়ে গেল কেন? তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটি এবং দেশের মানুষের পক্ষ থেকে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁস প্রসঙ্গে বাসদ নেতা বলেন, আগে স্কাইপির ঘটনা ঘটল। সেটি সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিলে এ ঘটনা ঘটত না। এতে সরকার ও ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বহীনতা প্রমাণ হলো। যুদ্ধাপরাধ বিচার সবাই চায়। দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা যখন পূরণ হচ্ছে তখন সেটিকে বিতর্কিত করার কোনো যুক্তি ছিল না। খালেকুজ্জামান বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন আছে, বিতর্ক আছে তাই আরও সতর্ক থাকা দরকার ছিল। অতীতেও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে, কথায় ও কাজে সংশয় বেড়েছে। কিভাবে রায় ফাঁস হলো প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে তদন্ত করে স্পষ্ট করা দরকার। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করা ঠিক নয়।
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2013/10/06/20234#sthash.V3iUU7cb.dpufরামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের স্বার্থে নয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভারতের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য হিস্যাগুলো আদায়ে তড়িঘড়ি নেই। ছিটমহল বিনিময় হলো না, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হলো না, ফেলানী হত্যার বিচার পেলাম না, দুই দেশের বাণিজ্যিক ঘাটতির কোনো সুরাহা হলো না। সেখানে দেশের মানুষের প্রতিবাদের মুখে এত তড়িঘড়ি করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হলো কেন? এটা আমাদের স্বার্থে নয়। ভারতীয় পুঁজির স্বার্থে। গত শুক্রবার বাংলাভিশনের টকশো 'নিউজ অ্যান্ড ভিউজ'- এ বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান এ কথা বলেন। গোলাম মোর্তোজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে যেখানে বিদ্যুতের মূল্য পড়বে চার টাকার মতো। আর ভারতের এ বিদ্যুৎ আট টাকার ওপরে পড়বে। এখানে সুন্দরবন কিভাবে নষ্ট হবে, গাছপালা, মাছ, পশুপাখির ওপরে কী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। অনেক গবেষক তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। এরপরও সরকার যদি এ পদক্ষেপ নেয় সেটা জনস্বার্থে নয়। এখানে সরকার জনগণের দিকে তাকিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নাকি অন্য কারও বাণিজ্যিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কাজটি করছেন এ প্রশ্ন থেকেই যাবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাতিলের দাবিতে লংমার্চ করলাম। সারা দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়েছে। কেন্দ্রটি নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন মহল থেকে যে প্রশ্নগুলো এসেছে তার কোনো সন্তোষজনক জবাব সরকার থেকে আসেনি। তারা যেসব যুক্তি দেখিয়েছে তা ধোপে টেকেনি। পার্লামেন্টেও বিষয়টি তোলা হয়নি। সরকার যে কথাগুলো বলেছে তার পাল্টা যুক্তিগুলো নিয়ে একটি বিতর্কও হলো না। অথচ ২২ তারিখ উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়ে ৫ তারিখেই উদ্বোধন করার ব্যবস্থা হলো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসে আমাদের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে পারলেন না। আর এখানে একটি বাণিজ্যিক বিষয় যুক্ত। প্রকল্পটি উদ্বোধন এত জরুরি হয়ে গেল কেন? তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটি এবং দেশের মানুষের পক্ষ থেকে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁস প্রসঙ্গে বাসদ নেতা বলেন, আগে স্কাইপির ঘটনা ঘটল। সেটি সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিলে এ ঘটনা ঘটত না। এতে সরকার ও ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বহীনতা প্রমাণ হলো। যুদ্ধাপরাধ বিচার সবাই চায়। দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা যখন পূরণ হচ্ছে তখন সেটিকে বিতর্কিত করার কোনো যুক্তি ছিল না। খালেকুজ্জামান বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন আছে, বিতর্ক আছে তাই আরও সতর্ক থাকা দরকার ছিল। অতীতেও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে, কথায় ও কাজে সংশয় বেড়েছে। কিভাবে রায় ফাঁস হলো প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে তদন্ত করে স্পষ্ট করা দরকার। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করা ঠিক নয়।
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2013/10/06/20234#sthash.V3iUU7cb.dpuf